পুলিশ জানিয়েছে, বাবার সঙ্গে থাকত ঐ তরুণ। নয়ডার এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন দুজনেই। লকডাউনের কারণে সম্প্রতি ঐ তরুণ সবসময় ঘরেই থাকত। সময় কাটাতে ঘরে বসে ভিডিও তৈরি করে টিকটক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করত সে।
“ভিডিওতে যথেষ্ট লাইক না পাওয়ার জন্য কয়েক দিন তার মন খারাপ ছিল। বাবাকে এই কথা জানিয়েছিল ঐ তরুণ।” জানিয়েছেন নয়ডা সেক্টর ৩৬ থানার অফিসার। তিনিও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে ফোন আসে যে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ঐ তরুণ।
“সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহ। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোন আত্মহত্যার চিঠি পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ভিডিওতে যথেষ্ট লাইক না পাওয়ার জন্যই আত্মহত্যা করেছে সে। এই বিষয়ে আর কোন তথ্য দিতে পারেনি তরুণের বাবা।” বলেন ঐ অফিসার।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে বিগত কয়েক দিন ধরেই মনমরা হয়ে ছিল ঐ তরুণ। ভিডিও তৈরি করতে সে সারা রাত জেগে ছিল বলে জানা গিয়েছে। ময়না তদন্তের পরে মৃতের দেহ বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
“ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে দরজা ভাঙতে হয়েছে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে ভিডিওতে যথেষ্ট লাইক না পাওয়ার কারণেই অবসাদে ভুগছিল সে। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোন চিঠি পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।” জানিয়েছেন নয়ডা জোন ১-এর সহকারী পুলিশ কমিশনার কুমার রনবিজয় সিং।
অবসাদের সঙ্গে লড়াই করলে সাহায্যের জন্য এই নম্বরে ফোন করতে পারেন। রোশনি - +৯১৪০৬৬২০২০০০ (হায়দরাবাদ), স্নেহা ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন +৯১৪৪২৪৬৪০০৫০ (দিল্লি)।
Write a Comment